কক্সবাজারে  ইজতিমা শুরু মঙ্গলবার

কক্সবাজারে দেওবন্দপন্থি তাবলীগ জামাতের দুইদিনব্যাপী ইজতেমা মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। 
 সকালে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর কিত্তা ও হালকাওয়ারী তালিম চলে। বাদে জুহর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা করবেন ডাকা কাকরাইলের প্রধান মুরব্বি আহলে শুরা হাফেজ ক্বারী মাওলানা জুবাইর আহমদ।
শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট সংলগ্ন ঝাউবাগানের বালিয়াড়িতে বসা ইজতেমা শেষ হবে আগামীকাল।

সোমবার দুপুরের পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ইজতেমা প্রাঙ্গনে অবস্থান নেয়।
 ফজরের নামাজের পর থেকেই আজ বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকেও বেশ কয়েকটি জামাত অংশ নিয়েছে।এছাড়া দেশের বাইরেরও বেশ কয়েকজন তাবলীগের সাথী ইজতেমায় অংশ নিয়েছে।
গতকাল মাগরিব নামাজের পর উপস্থিত সবাইকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন তাবলীগের মুরব্বিরা। আম বয়ানের ফাঁকে চলছে রান্নাবান্নার কাজও।

কক্সবাজার তাবলীগ জামাতের মুখপত্র মাওলানা আতাউল করিম জানান, ইজতেমার মূল তাবুর বাইরে ৮ উপজেলার জন্য ১০টি খিত্তা (অবস্থানের তাবু), মুরব্বি, ওলামা মাশায়েশ ও ভিআইপিদের জন্য ১টি করে খিত্তা তৈরী করা হয়েছে।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য অস্থায়ীভিত্তিতে আড়াইশ টয়লেট, ৫০টি ডাস্টবিন এবং প্রায় ১০০ টিওবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি পাহারাঘর। নিয়োজিত করা হয়েছে প্রায় ৭০০ স্বেচ্ছাসেবক।
দুইদিনের এই ইজতেমায় ঢাকার কাকরাইলের প্রধান মুরব্বি আহলে শুরা হাফেজ ক্বারী মাওলানা জুবাইর আহমদ, কাকরাইলের মুকিম মাওলানা ওমর ফারুক, প্রকৌশলী আবদুল মুকিব এর সুযোগ্য সন্তান মাওলানা আবদুল বারসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের আলেমরা এতে অংশ গ্রহণ করেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, সফলভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।